NOT KNOWN FACTUAL STATEMENTS ABOUT অপূর্ণ প্রেমের গল্প

Not known Factual Statements About অপূর্ণ প্রেমের গল্প

Not known Factual Statements About অপূর্ণ প্রেমের গল্প

Blog Article

ছোট মামা বলল ,”কলার পাতা কাটা আছে সবাই কলার পাতায় করে খাব”।

কিন্তু ভাগ্য ভালো ছিলো বলে আমার রক্তের সাথে তোমার রক্তের মাচিং করে। ফলে আমি সেদিন তোমায় রক্ত দেই। রক্ত দিয়ে সাথে সাথে আমি একটু দরকারে বাসায় চলে আসি। এবং পরে যখন তোমার সাথে দেখা করতে যাই তখন তুমি আমাকে না জেনেই ভুল বুঝো এবং আমাকে অনেক অপমান করো। তবে বিশ্বাস করো সেদিন আমার তোমার কথায় খুব বেশি তেমন কষ্ট হয়নি। শুধু হালকা চক্ষের পানি ধরে ছিলো।

রক্তিম ‘এই রক্তিম হয়েছে। এবার তো ছাড়ো। এই কি হলো ছাড়ো।

জীবনে হয়ত অনেক কিছুই ফিরে পাওয়া সম্ভব, কিন্তু স্কুল জীবনের স্কুল জীবনের অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প সেই ফেলে আসা স্মৃতিগুলো আর কখনই ফিরে আসবে না।

ওই ছেলেটা যদি আজকে না থাকতো তাহলে তোর এই আজকে সবাইকে নিয়ে জন্মদিনের পার্টি করতে পারতি না। তোর কি মনে আছে একমাস আগে তোকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিলো। আর ডাক্তার কি বলেছিলো।

বাড়ি ফিরে এসে পুকুর ঘাটের সিঁড়িতে বসে আমাদের আবার একটা আড্ডা জমে গেলো। আস্তে আস্তে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলো। আকাশে একটা বড় চাঁদ উঠল। বেলি ফুলের ঘ্রাণে পরিবেশটা মৌ মৌ করে উঠলো। কিছুক্ষণ পর ছেলেদের দলও আমাদেরকে খুঁজতে খুঁজতে পুকুর পাড়ে চলে আসলো। মামাতো ভাই হারুন একটা প্যাকেট এগিয়ে দিয়ে বললো ,”এই-যে চৈতি আপার জন্য মুরাদ ভাই মাগুরা থেকে কবুতরের চপ এনেছে, এই নাও।”

আমি কোনমতে বলতে পারলাম,’যে মাছ খায় না মামী বলেছে এটা তার জন্য”। আমার কথা শুনে সে মুখ নীচু করে মুচকি মুচকি হাসতে লাগল।  কিন্তু বড় মামার আবার হুংকার,” আরে বলবিতো কে মাছ খায় না”। কিন্তু এই কথার উত্তর দেয়ার জন্য আমি আর সেখানে দাঁড়িয়ে নেই ।

এক সময় যখন তুমি আমায় দেখে ফেললে তখন আবার নানান কথা ‘যেমন গুন্ডা ‘বখার্টে ‘ছোটলোক আরো কতো কি বলে সবার সামনে অপমান করলে। এক সময় তো তুমি আমাকে ছাত্র -ছাত্রী ভর্তি ক্যাম্পাসে সবার সামনে থাপ্পড়ও মেরেছিলে পুরো ঘটনাটা না শুনে। আসলে আমার কপাঁলটাই খারাপ। আমি যখনি তোমার সামনে ভালো থাকতে চাইতাম ‘ঠিক তখনি কোনো না কোনো কারণে খারাপ হয়ে জেতাম। আর তুমি আমাকে দেখে ভাবতে যে আমি গুন্ডা ‘রাস্তার বখার্টে ছেলে। কিন্তু বিশ্বাস করো এতো কিছুর পরেও আমি যেনো তোমাকে ভুলতে পারছিলাম না তাই সারাক্ষন শুধু তোমার পিছন পিছন লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম তোমায়। তবে একদিন তোমার লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে দেখতে হঠাৎ করে দেখলাম যে তুমি রাস্তার মধ্যে মাথা ঘুরে পরে গেলে। তাই সাথে সাথে তোমাকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। তারপর তোমার ফোন দিয়ে তোমার আব্বু- আম্মুকে ফোন করে হাসপাতালে ডেকে পাঠালাম।

আজকে তোমার এই সব কিছুর জন্য আমি দায়ী। আমার জন্য তোমার আজকে এই অবস্থা। আমার জীবন বাঁচাতে গিয়েই আজকে তুমি মরতে বসেছো। কেনো করলে তুমি এমন বলোকেনো করলে। (এই বলে আবারো রক্তিমকে জরিয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো…)

”শিউলি উত্তর করলো,”সে রসমালাই খায়”। মুরাদ ভাই “ও আচ্ছা “বলে চলে গেল। 

শুভ জন্মদিন। তোমাকে তোমার জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। জানিনা আমার গিফটের বক্সটা তুমি খুলে দেখবে কি না। তারপরেরও অনেক আশা নিয়ে আমার নিজের হাতে আঁকা ভালো না হলেও মনের গহিন থেকে তোমার একটা ছবি একে তোমার কাছে গিফট হিসেবে পাঠালাম। ছবিটা একটু দেখো। আর শোনো ‘তোমাকে কিছু কথা বলার ছিলো পারলে একটু সময় করে পড়ে নিয়ো। যানো আমি না সেই ছোট্ট বেলা থেকে মা-বাবা কারো আদর পাইনি। এক কথা বলতে গেলে বলা যায় আমি এতিম। ছোট বেলায় মা-বাবাকে হারিয়ে বড় হই আমার এক মামির কাছে। কিন্তু আল্লাহ ‘মনে হয় আমার কপাঁলে সেই সুখটাও লেখেন নি।

স্কুলজীবন মানেই অসংখ্য স্মৃতির একটি মিষ্টি গল্প আর কিছু মনের মত বন্ধুর সমাহার।

খালার সাথে কথা বলতে বলতে হঠাৎ খেয়াল করলাম একজোড়া চোখ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। সেই চোখের দৃষ্টি এতটাই স্বচ্ছ আর এতটাই তীব্র যে আমি সাথে সাথে চোখ নামিয়ে নিলাম। দৃষ্টির তীব্রতা এতই গাঢ় ছিল যে তা আমার বুকের ভিতর হাতুড়ি পেটাতে শুরু করল। আমার কানের পাশে লক্ষ-কোটি মৌমাছির গুঞ্জন শুরু হয়ে গেল। এরপর খালার আর কোন কথাই আমার কানে ঠিকমতো ঢুকছিল না। সম্বিৎ ফিরে এলো নানির কথায়, “যাও নানু ভাই হাত মুখ ধুয়ে কিছু খেয়ে নাও অনেক দূর থেকে এসেছো’।

Report this page